# কিভাবে চেনবেন আসল চামড়াঃ ১. হাতে নিয়ে দেখুন পণ্যের ওজন কেমন? আসল চামড়ার পণ্যের ওজন তুলনা মূলকভাবে বেশি হয়। ২. পণ্যের কোনা দিয়ে চিমটি দিয়ে দেখুন ফাইবার কেমন? আসল চামড়ার ফাইবার শক্ত ও প্রাকৃতিক মজবুত গাথুনি থাকে। নকল চামড়ার পণ্যের ফাইবার পলিথিনের চিকন রশির মত। টান দিলেই আলাদা হয়ে যায়। ৩. গন্ধ নিয়ে দেখুন!! হাতের কাছে নিয়ে পণ্যের গন্ধ নিন!!! আসল চামড়ার পণ্যের গন্ধ বেশ জটিল। বিভিন্ন ধরনের ক্যামিক্যাল দিয়ে ফিনিস করার জন্য এমন গন্ধ হয়ে থাকে, বিশেষ করে চামড়ার জুতার পলিশিং ক্রিমের মত গন্ধ পাবেন আসল চামড়ায়। নকল চামড়ায় সাধারণত কোন গন্ধ থাকে না, থাকলেও তা পলিথিনের মত। ৪. শেষ পর্যন্ত; বার্ন টেস্ট!! যদি কোন সন্ধিহান থাকেন তাহলে পণ্যের কোনায় আগুন দিয়ে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, আগুনে যে কোন জিনিসই পুড়ে তবে নকল চামড়ার পোড়া গন্ধ পলিথিন পোড়া গন্ধ থাকে অনেক সময় থাকেই না। আর আসল চামড়ায় পোড়া গন্ধ অনেকটা পশম বা চুল বা নখ পুড়লে যেমন গন্ধ বের হয় ওমন উটকো গন্ধ বের হবে। কারন আসল চামড়া প্রাকৃতিক বস্তু, এর মধ্যে “সালফার” থাকে।
#কিভাবে লেদারের পণ্য কে ফাংগাস থেকে মুক্ত রাখা যায়ঃ প্রত্যেকদিন ব্যাবহার্য চামড়ার তৈরি কোন জিনিসে ফাঙ্গাস আসবে না! ১। ২ সপ্তাহে একবার হলেও চামড়ার তৈরি জিনিসটি ব্যবহার করুন। হালকা একটু মোছা দিয়েই ব্যবহার করতে পারবেন এসময়। ২। ৪ সপ্তাহ বা ৩০ দিনে অন্তত একবার হলেও আপনার মূল্যবান ব্যবহার্য আসল চামড়ার জিনিসটি একটু খোলা বাতাসে রাখুন। মনে রাখবেন, বদ্ধ পরিবেশ ফাঙ্গাস জন্মাবার ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে ২-৩ ঘণ্টা খোলা বাতাসে রেখে দেবার পর “লেদার কেয়ার সাইনার” দিয়ে হালকা সাইন করে রাখুন। অনেক ধরনের সাইনার বা লেদার কেয়ার কিট বাজারে পাওয়া যায়। আপনার দরকার মাফিক সাইনার নির্বাচন করুন। জুতার সাইনার দিয়ে জ্যাকেট সাইন দিবেন না; আবার লেদারের সোফা বা কাউচের সাইনের দিয়ে জুতা সাইন দিবেন না। ব্যতিক্রম ঘটলে আপনার পণ্যের ক্ষতি হতে পারে বা পূর্বের চেহারা ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। ক্লজেটে রাখার পূর্বে “সিল্ক” কাপর দিয়ে ভাল ভাবে কোনায়-কোনায় মুছে রাখুন।
#কিভাবে জেনুইন লেদার যত্ন নিবেন? ১. নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন, ধূলি-বালি ধরলে মুছে রাখুন। ২. সঠিক আদ্রতা বজিয়ে রাখুন। বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ। এই গরম; এই শুষ্ক-এই আদ্র আবার হাড় কাপানো ঠান্ডাও আছে। আমাদের শরীরের চামড়ায় যেমন প্রত্যেক ঋতুতে-ঋতুতে পরিবর্তন উপলব্ধ হয় তেমইন আসল চামড়ার তৈরি পণ্যের বেলায়ও ঘটে। ৩. আদ্রতা কমে গেলে আমরা যেমন বিভিন্ন ধরনের তেল/লোশন/গ্লিসারিন দেই ঠিক তেমনই আপনার আসল চামড়ার পন্যেরও দরকার ঋতু ভেদে। ৪. বাজার বিভিন্ন ধরনের সাইনার ও লোশন বা ওয়েল পাওয়া যা শুধুমাত্র চামড়ার পণ্যের জন্য; তা ব্যাবহার করতে পারেন। ব্যাবহার করা উচিত! ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের মতই আপনার ব্যাবহার্য আসল চামড়ার পণ্যেরও চকচকে-তকতকে ভাব থাকবে!
Leave a Reply